প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাধীন ৫ নং শীলমাড়ীয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ৮ নং ওয়ার্ডের সাতবাড়ীয়া গ্রামে সাতবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি অবস্থিত ।

মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশের গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । মাদ্রাসা শিক্ষার গোড়া পত্তন মুলতর রাসুল (সাঃ) এর আমল হতে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ । স্বাধীনতার পর হতে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধারায় শিক্ষা ব্যবস্থা  চালু আছে বাংলাদেশে । সেগুলির মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব অনসিকার্য । মাদ্রাসা শিক্ষাই জাতীকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে ১৯৭১ খ্রিঃ জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের আলোকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে । তাদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে অত্র এলাকার  সর্ব সাধারণের প্রচেষ্ঠার ফসল এই সাতবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি  । সু-জলা সু-ফলা শস্য শ্যামলা, পাক – পাখালির কলতানে মুখরিত সবুজে ঘেরা এক নির্জন পরিবেশে মাদ্রাসাটি  অবস্থিত ।মাদ্রাসা স্থাপনের কিছু গুরুতপূর্ন ইতিহাস যা না বললেই না । গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭০০০ (সাত হাজার ) । উত্তর দক্ষিণ লম্বা বিশিষ্ঠ  একটি গ্রাম সাতবাড়ীয়া । গ্রামের  দক্ষিণে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক স্কুল অবস্থিত । অন্যদিকে গ্রামের  উত্তর দিকে মাদ্রাসাটি অবস্থিত । সাতবাড়ীয়া গ্রামের উত্তর্র একটি মনরোম ঈদগাহ মাঠ আছে । যেখানে প্রায় ২২ (বাইস ) গ্রামের লোকেরা ঈদের নামায আদায় করতে আসেন । ১৯৯৮ সালে ঈদুল ফিতরের নামায শেষ করে ঈদ মাঠের ইমাম সাহেব মাঃও মোঃ মোজাম্মেল হক ,সকল মুসল্লিদের বসার দাওয়াত করেন,  তিনি বলেন , আমার বড় ইচ্ছা এই গ্রামে এইখানে ঈদ মাঠের সঙ্গে একটি দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হোক , তাহার এই কথার প্রেক্ষিতে উপস্থিত সকল মুসল্লিগণ একমত পোষন করেন এবং অনেক আলোচনা পর্যালোচনা করে ১৯৯৮ খ্রিঃ সাতবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ।

আলহ্বাজ ময়েন উদ্দিন , আলহ্বাজ চয়েন উদ্দিন ,আলহ্বাজ মনির উদ্দিন , আলহ্বাজ মসলেম উদ্দিন , আলহ্বাজ হাবিবুর রহমান , আলহাজ্জ জালাল উদ্দিন ক্বারী ,মোঃ আব্দুল হাকিম,আলহাজ্জ মোহাম্মদ আলী, আলহ্বাজ মোঃ শহিদুল ইসলাম , মোঃ আবুল কাশেম , মোঃ মুন্তাজ আলী কবিরাজ , মোঃ ননছের আলী কবিরাজ , মোঃ আনসার আলী কবিরাজ, ডাঃ মোঃ আঃ গফুর প্রাং ডাঃ নছির উদ্দীন ,আব্দুল মান্নান,মোঃ মন্টু, আব্দুল আলিম পিন্টু,  ডাঃ মোঃ ফজলুল হক মোঃ ফজল হাসান আনছারি, মোঃ জফের আলী  , মোঃ আবু তাহের,আ ফ ম হোসেন টুকু, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ খাদেমুল ইসলাম , মোঃ রফিকুল ইসলাম , মোঃ বকুল শাহ, ও শরিফুল ইসলাম সেন্টু,মোঃ শাহাদত হোসেন, মোঃ আমজাদ আলী,মোঃ ফজলু, মোঃ মেরাজ উদ্দীন, মোঃ তমাল, মোঃ জামরুল ইসলাম সহ গ্রামের ও পাশবর্তি গ্রামের সকল ধর্মপ্রান মুসলমান অত্র মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা/ স্থাপনের জন্য শ্রম, অর্থ , সময় , দিয়ে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন । মাদ্রাসাটি ২০০২ খ্রিঃ পাঠদান করার অনুমতি লাভ করে । ২০০৫ খ্রিঃ একাডেমিক স্বীকৃত লাভ করে । ০১/০৫/২০১০ খ্রিঃ মাদ্রাসাটি এম , পি ও ভুক্ত লাভ করে । অত্র মাদ্রাসায় ১৮ জন শিক্ষক এবং ০৫ জন কর্মীচারী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন । মাদ্রাসার পূর্ব পাশে পাকা  রাস্তার একপাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান । মাদ্রাসার দক্ষিনে রয়েছে একটি বিশাল কেন্দীয় ঈদগাহ মাঠ । আরো আছে একটি পুকুর , মাদ্রাসা সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের খেলা- ধুলা ও বিনোদনের জন্য আছে একটি খেলার মাঠ ।

মাদ্রাসার ১ টি ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও অর্ধ পাকা একটি ভবন রয়েছে । দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যে অত্র মাদ্রাসা শিক্ষকগন কন্টেন্ট  তৈরি  করে , মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করা হয় । অত্র মাদ্রাসায় সাধারন বিভাগের পাশা পাশি আই সিটি ও বিজ্ঞান বিভাগ ও রয়েছে । শিক্ষার্থীর জন্য “শিক্ষার জন্য এসো সেবার জন্য বেরিয়ে যাও” এই অঙ্গিকার সামনে রেখে অত্র মাদ্রাসাটি সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত পঠভূমির প্রেক্ষিতে দক্ষ ও  যোগ্য নাগরিক করে তোলার জন্য নিরোলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠান । সমাজ থেকে সকল  অন্ধকার ,অশিক্ষা কুশিক্ষা ও কুসংস্কার দুর করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে নিরন্ত্রন ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীর নৈতিক ও মানবিক মুল্যবোধ , ইতিহাস , ঐতিয্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিল্প সাহিত্য , সংস্কৃতি , দেশপ্রেমের চেতনার বোধ , প্রকৃতিচেতা, সকল ধর্ম বর্ন , সকল নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি সম-মর্যদা বোধ জাগ্রত করার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে অবিরত ।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দূঢ়  প্রত্যয় নিয়ে অত্র মাদ্রাসাটি আগামীতে পথ চলবে ইনশা আল্লাহ  এই আমাদের অঙ্গিকার ।